দ্বিমাত্রিক (২-মাত্রিক) ও ত্রিমাত্রিক (৩-মাত্রিক) জগতে i, j, এবং k হল ইউনিট ভেক্টর, যা বিভিন্ন দিক নির্দেশ করে। এই ভেক্টরগুলো প্রতিটি অক্ষে একক মান (১) এবং নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দেয়, এবং এগুলো ভেক্টরের দিক নির্ণয়ে সহায়ক।
দ্বিমাত্রিক (২-মাত্রিক) জগতে i এবং j
দ্বিমাত্রিক বা ২-মাত্রিক জগতে, আমরা সাধারণত x-অক্ষ এবং y-অক্ষ ব্যবহার করি, যেখানে:
- i: x-অক্ষ বরাবর একটি একক ভেক্টর।
- j: y-অক্ষ বরাবর একটি একক ভেক্টর।
যেমন, যদি →A একটি দ্বিমাত্রিক ভেক্টর হয়, তবে এটি লিখা যাবে:
→A=xi+yj
এখানে x এবং y হল ভেক্টরের x-অক্ষ এবং y-অক্ষ বরাবর উপাদান, যেখানে i এবং j একক ভেক্টর হিসেবে কাজ করছে।
ত্রিমাত্রিক (৩-মাত্রিক) জগতে i, j, এবং k
ত্রিমাত্রিক বা ৩-মাত্রিক জগতে, আমরা x-অক্ষ, y-অক্ষ এবং z-অক্ষ ব্যবহার করি, যেখানে:
- i: x-অক্ষ বরাবর একক ভেক্টর।
- j: y-অক্ষ বরাবর একক ভেক্টর।
- k: z-অক্ষ বরাবর একক ভেক্টর।
যদি →B একটি ত্রিমাত্রিক ভেক্টর হয়, তবে এটি লিখা যাবে:
→B=xi+yj+zk
এখানে x, y, এবং z ভেক্টরের যথাক্রমে x-অক্ষ, y-অক্ষ, এবং z-অক্ষ বরাবর উপাদান, এবং i, j, k একক ভেক্টর হিসেবে কাজ করে।
i, j, k এর ব্যবহার
১. ভেক্টর নির্দেশনা: i, j, k বিভিন্ন দিক নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ভেক্টরের সঠিক দিক নির্ধারণে সহায়ক।
২. জ্যামিতিক আকার: ভেক্টরের একক ভেক্টরগুলো বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দিক প্রদান করে।
৩. ক্রস প্রোডাক্ট: i, j, এবং k-এর মধ্যে ক্রস প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ভেক্টরের পরিমাপ এবং দিক নির্ধারণ করা হয়। যেমন:
i×j=k,j×k=i,k×i=j
এসব বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে i, j, এবং k ভেক্টরের উপাদান এবং দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা ত্রিমাত্রিক জগতের বিভিন্ন গাণিতিক সমাধানে অপরিহার্য।
Read more